নষ্টলয়জ শব্দকে মানুষ ভালোবাসে। অনেকেই রোমন্থনমুলক শব্দসম্ভার লিখে প্রভুত আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। তাঁর পাঠকেরাও হয়তো সে আনন্দের ভাগ পান। সব পাঠক, লেখকের সাথে একই সময় সরণী ভাগ করেছেন, তা নয়। যাঁদের সেই তন্ত্রীতে সাড়া জাগে, তাঁদের ভালোলাগার মাত্রা অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র। কোনভাবে সেই লেখা সার্বজনীন হয়ে ওঠেনা। অন্যদিকে লেখা ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা থেকেও বিরত থাকে। কতকটা দূরে দাঁড়িয়ে, ব্যক্তিগত উপলব্ধির চারন। তা সে, "যার যেমন তার তেমন" গোছের।
ওদিকে বেলা তো বসে থাকে না। সে আসে যায়, আবার আসে। সাথে নতুনকে নিয়ে আসে, গরম শীত, বর্ষা সব। এমন কি তার সাথে পাল্লা থাকে খরা, বন্যা, দূর্বিষহ দূর্ঘটনা। ক্যালেন্ডার এক অসামান্য স্মারক। দিনের মেয়াদী পাতা। উল্টে গেলেই দিন শেষ।
এ নিয়ে বেশ চলে। চৈত্রশেষে সেল রোদ্দুরের সাথে নামতা মাপে। বাস চালক পরনের উর্ধাবাস খুলে রাখে। রাজপথের ধোঁয়া ওঠা পিচে, তার চরনচিহ্ন রেখে যায়। বন্ধ দোকানের গা ঘেঁষে রোঁয়া ওঠা সারমেয় ঝিমোচ্ছে। নগরায়নের তাগিদে গাছেরা চলে গেছে। পড়ে আছে ছায়াহীন অবয়ব। মানুষ, পশু, পাখি সকলেরই খিদে বড় বালাই। তার জন্য ছুটে চলা। দ্বিপ্রহরের দাব উপেক্ষা করে অনেকানেক মানুষ এখনও পথে। কেউ আখের রস খায়, কেউ চা। রঙিন পানীয়র দামি বোতলও হাত ঘুরে যায়। হাত অনুসারে দাম। চাষীর হাত, মজুরের হাত একেক রকম। শিল্পীর হাত? আড়ালই ভালো? সেখানে ধুলো পড়ে না? রঙ ওঠে না? কন্ডাকটারের অপরিসীম ধৈর্য্য আর বিরক্তির সহাবস্থান। "এখানে স্টপেজ নেই।" কার কোথায় থামা দরকার, পুলিশ বা ভগবান কে জানে? সে কথা কে বলবেন? ওদিকে অটো স্ট্যান্ডে মানুষ উঠে বসে আছে, চালক কে পাওয়া যাচ্ছে না। গরমের ত্রাসে সবাই যেন চালকহীন। একজন ছুটে এসে ইস্তাহার ধরিয়ে গেল। ভোটের প্রচার লিপি। পেটের মতো ভোটও বড় বালাই। চোখ বোলাতে কয়েকটি নাম চোখে পড়ে। যাঁরা জীবিত কিনা জানা ছিল না, গত ভোটের পর তো এঁদের দেখা বা শোনা যায়নি। সে যাই হোক, গাড়ি চালক ঘামতে ঘামতে দর্শন দিলেন। এক গাল হেসে বলেন, পান খেতে গিয়েছিলেন। রক্তাক্ত মুখ তাই বলে। পান করতে জাননি, জেনে ভালো লাগে।
সময় গড়িয়ে যায়। ধুলো পথ, জয়বাবা তারকনাথের দেখা দেয়না। চড়কের দল মুখ লুকিয়েছে। বড় মাল্টিপ্লেক্স বাতির রোশনাইতে সর্বস্য ঢেকে যায়। পঞ্জিকা কিনতে দর করতে নেই। ভবিতব্যের কি মূল্য হয়? সে তো এমনি আছে, অমনিও রইল। তোমার আমার বছরভর প্রাপ্তি। নীল পুজো, অশোক ষষ্ঠী কোনরকমে টিঁকে থাকে। বাঙলার ঘর আদুর হয় ডুবে যাওয়া সূর্যের শেষ রশ্মিতে। সারাদিনের তিক্ততা ঘুরে বসে। সন্তানের শুভ কামনায় জড়ো হয় নতুন বালিশ ও পোশাকের ঘ্রাণ।
ওদিকে বেলা তো বসে থাকে না। সে আসে যায়, আবার আসে। সাথে নতুনকে নিয়ে আসে, গরম শীত, বর্ষা সব। এমন কি তার সাথে পাল্লা থাকে খরা, বন্যা, দূর্বিষহ দূর্ঘটনা। ক্যালেন্ডার এক অসামান্য স্মারক। দিনের মেয়াদী পাতা। উল্টে গেলেই দিন শেষ।
এ নিয়ে বেশ চলে। চৈত্রশেষে সেল রোদ্দুরের সাথে নামতা মাপে। বাস চালক পরনের উর্ধাবাস খুলে রাখে। রাজপথের ধোঁয়া ওঠা পিচে, তার চরনচিহ্ন রেখে যায়। বন্ধ দোকানের গা ঘেঁষে রোঁয়া ওঠা সারমেয় ঝিমোচ্ছে। নগরায়নের তাগিদে গাছেরা চলে গেছে। পড়ে আছে ছায়াহীন অবয়ব। মানুষ, পশু, পাখি সকলেরই খিদে বড় বালাই। তার জন্য ছুটে চলা। দ্বিপ্রহরের দাব উপেক্ষা করে অনেকানেক মানুষ এখনও পথে। কেউ আখের রস খায়, কেউ চা। রঙিন পানীয়র দামি বোতলও হাত ঘুরে যায়। হাত অনুসারে দাম। চাষীর হাত, মজুরের হাত একেক রকম। শিল্পীর হাত? আড়ালই ভালো? সেখানে ধুলো পড়ে না? রঙ ওঠে না? কন্ডাকটারের অপরিসীম ধৈর্য্য আর বিরক্তির সহাবস্থান। "এখানে স্টপেজ নেই।" কার কোথায় থামা দরকার, পুলিশ বা ভগবান কে জানে? সে কথা কে বলবেন? ওদিকে অটো স্ট্যান্ডে মানুষ উঠে বসে আছে, চালক কে পাওয়া যাচ্ছে না। গরমের ত্রাসে সবাই যেন চালকহীন। একজন ছুটে এসে ইস্তাহার ধরিয়ে গেল। ভোটের প্রচার লিপি। পেটের মতো ভোটও বড় বালাই। চোখ বোলাতে কয়েকটি নাম চোখে পড়ে। যাঁরা জীবিত কিনা জানা ছিল না, গত ভোটের পর তো এঁদের দেখা বা শোনা যায়নি। সে যাই হোক, গাড়ি চালক ঘামতে ঘামতে দর্শন দিলেন। এক গাল হেসে বলেন, পান খেতে গিয়েছিলেন। রক্তাক্ত মুখ তাই বলে। পান করতে জাননি, জেনে ভালো লাগে।
সময় গড়িয়ে যায়। ধুলো পথ, জয়বাবা তারকনাথের দেখা দেয়না। চড়কের দল মুখ লুকিয়েছে। বড় মাল্টিপ্লেক্স বাতির রোশনাইতে সর্বস্য ঢেকে যায়। পঞ্জিকা কিনতে দর করতে নেই। ভবিতব্যের কি মূল্য হয়? সে তো এমনি আছে, অমনিও রইল। তোমার আমার বছরভর প্রাপ্তি। নীল পুজো, অশোক ষষ্ঠী কোনরকমে টিঁকে থাকে। বাঙলার ঘর আদুর হয় ডুবে যাওয়া সূর্যের শেষ রশ্মিতে। সারাদিনের তিক্ততা ঘুরে বসে। সন্তানের শুভ কামনায় জড়ো হয় নতুন বালিশ ও পোশাকের ঘ্রাণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন