বয়স তখন কত হবে? হয়তো পাঁচ। লাল জ্যাম মাখানো পাউরুটি ভালো লাগত। বাহাদুরের কোলে চড়ে সেই জ্যাম মাখা পাউরুটি খেয়েছি, দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়িতে। বাহাদুরের মুখ মনে নেই, অথচ কেমন প্রায় চার দশক পেরিয়ে সেই স্বাদ মনে আসে অবিকল। একটা খেলনা লাল গাড়ি ছিল। আমার নয়, খুব সম্ভব পাশের ঘরের ছেলেটির। আমায় দিতনা। আমার রোগাভোগা শরীরে অত জোর কোথায়, যে ভাগ বসাব? দূর থেকেই দেখতাম, ও খেলতো সামনের বারান্দা দিয়ে, আমায় দেখিয়ে দেখিয়ে।
আর একজন সাইকেল চালিয়ে চলে যেত, জানালা দিয়ে দেখা যেত। আরও দূরে একটা ঘড়িওয়ালা মিনার। বোধহয় তাঁর আপিস। আমার মনে নেই। সাইকেল করে যেত, আবার সাইকেল করেই ফিরতো। দুপুরে খেয়ে যেত মনে হয়। শহরের নাম, মনে পড়ে জব্বলপুর। লাল গাড়ি হয়তো কেড়ে এনে দেয়নি, তবু এনে দিয়েছে পৃথিবী। আর কেউ কিছু না দিলেও, কিছু যায় আসে না। আমি জানি, সেই মানুষটা আমার কাছে সর্বশক্তিমান। আমার বাবা।
আর একজন সাইকেল চালিয়ে চলে যেত, জানালা দিয়ে দেখা যেত। আরও দূরে একটা ঘড়িওয়ালা মিনার। বোধহয় তাঁর আপিস। আমার মনে নেই। সাইকেল করে যেত, আবার সাইকেল করেই ফিরতো। দুপুরে খেয়ে যেত মনে হয়। শহরের নাম, মনে পড়ে জব্বলপুর। লাল গাড়ি হয়তো কেড়ে এনে দেয়নি, তবু এনে দিয়েছে পৃথিবী। আর কেউ কিছু না দিলেও, কিছু যায় আসে না। আমি জানি, সেই মানুষটা আমার কাছে সর্বশক্তিমান। আমার বাবা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন