দুটো সুপুরী গাছের ফাঁকে দ্বিতীয়ার চাঁদ আটকা পড়ে আছে। নারকেলের ঝিরিঝিরি পাতার ওপর তার আলো ভিজিয়ে দিচ্ছে। টানা ঝিঁঝির ডাক গ্রামের নির্জনতাকে আরও গাঢ় করে। নদীর অন্য পাড় থেকে ভেসে আসছে, কোনো এক উৎসব বাড়ি থেকে ফিরে আসা ব্যান্ড পার্টির কর্নেটের সুর। দলছুট কিছু জোনাকি ঘুরে ঘুরে একবার এই ঝোপ, একবার অন্য। তার মাঝেই ফাল্গুন পূর্ণিমা পার করে একটা ঠান্ডা হাওয়া, মনে করিয়ে দেয় সম্পর্কের ফাটল। আত্মীয়তা, একাত্ব-বোধের মতো কতগুলো অপরিমিত শব্দ, অপ্রাসঙ্গিক মন খারাপের আগুন উসকে দেয়। নিভে যাওয়া উনোনের আঁচ, ইতিহাসের রক্তের উষ্ণতার মতন মিইয়ে গেছে। চেনা মুখেরা সবাই মুখোশের আড়ালে। শিরশিরে ঠান্ডা বাতাসের সাথে ভাঙা চাঁদের সখ্যতা আর প্রিয় মানুষদের ওম দূরতিক্রম্য পাহাড়। সেখানে আলোর খেলাপী সুতো বিস্তৃর্ণ ফসলের ক্ষেতে কুয়াশার চাঁদোয়া হয়ে ভেসে থাকে। কোন মানুষ কার পাশটিতে গিয়ে বসবে বুঝতে পারেনা। আটকা পড়া চাঁদ ক্রমে ঝাপসা হতে থাকে।
শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
ব্লগ এবং বই পাওয়ার ঠিকানাঃ https://souravstory.com
এখন থেকে ব্লগ সহ অন্যান্য সব খবর এবং বই পাওয়ার ঠিকানাঃ https://souravstory.com
-
অভিযোজন দোয়েলপাড়ার মাঠে পুজোর বাঁশ পড়েছে। এই অঞ্চলে এটাই সবচেয়ে বড় পুজো। আর প্রতি বছর ঠিক পনেরোই অগাষ্ট মাঠে প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে। দিগিন...
-
চলতে গিয়ে চলা আর বলতে গিয়ে বলা। গোটা জীবনটা কেটে যায়। পথ চলতে দেখা হয় কত মানুষের সাথে। এক গাড়িতে কিছুক্ষণ, তারপর যে যার পথে। সকালের সেই চেন...
-
আমাকে প্রধান শিক্ষকের ঘরে ডেকে পাঠানো হল, কেন আজ মনে নেই। সাথে নিম্নবুনিয়াদী থেকে প্রাপ্ত শেষ ফলাফলের কাগজটা ছিল। ওটাই সম্ভবতঃ মাঠের স্কুলে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন